নিজস্ব প্রতিনিধি।।
নির্ধারিত সময়রের পরে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার খবরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হট্টগোল হয়েছে। বিকেল ৫ টার দিকে কিছু লোক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে হঠাৎ করে শ্লোগান দিতে থাকে “নির্ধারিত সময়ের পরে মনোনয়ন জমা মানিনা মানবনা”। শ্লোগান দিতে দিতেই তারা প্রবেশ করে জেলা প্রশাসক তথা জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কক্ষে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “৩০ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ সময় হলেও অনেকেই সেই সময়ের বাইরে গিয়েও মনোনয়ন ফরম জমা দিচ্ছেন”।
নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ সময়ের বাইরে এসে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে এসেছেন বলে অভিযোগ তাদের”।
রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তপন মল্লিক বলেন, আমরা খবর পেয়েছি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেছেন। এটাতো আইন পরিপন্থী। এটাতো হতে পারে না।
আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এডভোকেট একরামুল হুদা বলেন, এখন নির্ধারিত সময়ে যারা ফরম জমা দিয়েছেন তাদের দাবি হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া যাবে না। এটার জন্যই তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) শাকিল হাসান বলেন, হঠাৎ করে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে’।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের বাইরে কারও মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হয়নি”। ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় উনার মনোনয়নও জমা নেয়া হয়নি।
কক্সবাজার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে এসে তিনজন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। তাদের মধ্যে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রার্থী মাহমুদুল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সানাউল্লাহ এবং ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।
পাঠকের মতামত